চিলি নয় বিশ্বকাপে থাকছে ইকুয়েডর

চিলির আবেদন খারিজ করে ইকুয়েডরকেই বিশ্বকাপে খেলার অনুমতি দিয়েছে ফিফা। এর ফলে ইকুডরের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আর কোন শঙ্কা থাকলো না। আগামী ২০ নভেম্বর স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামছে ইকুয়েডর।
অভিযোগের শুরু ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার বাইরন কাস্তিলোকে ঘিড়ে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের হয়ে আটটি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চতুর্থ দল হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছিল ইকুয়েডর। কিন্তু কাস্তিলো ভূয়া জন্ম সনদ দেখিয়ে বাছাইপর্ব খেলেছে বলে গত মে মাসে ফিফার কাছে চিলি ফুটবল ফেডারেশন ইকুয়েডরের এই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। বিষয়টি তদন্ত করে এটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিফা।
চিলির অভিযোগ জন্ম সনদ জালিয়াতি করে বাছাইপর্ব খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। মেক্সিকান সংবাদমাধ্যম ‘টিভিঅ্যাজটেকা’-তে প্রকাশিত এক সংবাদ সম্মেলনে চিলির পক্ষে থাকা আইনজীবি কারলেজ্জো দাবি করেন কাস্তিলোর জন্ম কলম্বিয়ার তুমাকোয়। তারা দাবী জানায়, ‘কাস্তিলোর মা-বাবার বিয়ে হয়েছে তুমাকোয়। সেখানেই কাস্তিলোর জন্ম হয়েছে। ১৯৯৮ সালে তার জন্ম, কিন্তু নথিভুক্ত করা হয় ২০১২ সালে। আমরা এখানে এসেছি, কারণ নিজেদের যুক্তি ও প্রমাণ নায্য এবং পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে চাই।’
চিলির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত জুনে তদন্ত করে ফিফা। এরপর এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছিল, ‘সব পক্ষের তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর ফিফার শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটি ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে চিলি। শেষ পর্যন্ত সেই আপিলের নিষ্পত্তি হলো।
চিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে কাস্তিলো ১৯৯৫ সালে কলম্বিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছে। কিন্তু জন্ম সনদে উল্লেখ আছে তিনি ১৯৯৮ সালে ইকুডরের প্লায়াসে জন্ম নিয়েছেন।
কাস্তিলো ভূয়া সনদ দেখিয়ে খেলেছেন, এটি প্রমাণিত হলে বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের হয়ে তার অংশগ্রহণ করা আটটি ম্যাচেরই পয়েন্ট কাটার কথা ছিল ফিফার। আর যেসব ম্যাচে কাস্তিলো খেলেছেন ঐ ম্যাচগুলোর পূর্ণ পয়েন্ট পেতো প্রতিপক্ষ দলগুলো। এতে ইকুয়েডরের হয়ে এই ডিফেন্ডার সবগুলো ম্যাচ খেলায় তাদের পয়েন্ট শূন্য হয়ে যেতো। পক্ষান্তরে টেবিলের চারে উঠে আসতো চিলি। আর পাঁচে চলে যেতো পেরু। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্লে-অফে খেলে তাদের মূল পর্ব নিশ্চিত করতে হতো। প্লে-অফে হেরে গিয়ে পেরুর আর বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি। কিন্তু ফিফার সিদ্ধান্তে সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হলো ইকুয়েডর। এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে সব ধরনের তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে কাস্তিলো স্থায়ীভাবেই ইকুডরের নাগরিক।
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র নয় সপ্তাহ বাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *