বোমা রাখা অফিসে তল্লাশি করাই স্বাভাবিক : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্পচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বোমা রাখা অফিসে তল্লাশি করাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন,  ‘যে বিএনপি অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সেই অফিস যে তন্ন তন্ন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি করবে এটাই স্বাভাবিক। বোমার সাথে সেখানে গ্রেনেডও আছে কি না বা জিয়াউর রহমান কিম্বা খালেদা জিয়ার ফটোর বাক্সের মধ্যে কোনো মারণাস্ত্র ঢুকিয়ে রেখেছে কি না সেটি তো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখতেই হয়।’
মন্ত্রী আজ  দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে তিনটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  এ সব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ছবির আয়না ভাঙ্গা দেখিয়ে এবং সেই তল্লাশিকে বিএনপি নেতারা যেভাবে বাড়িয়ে বলছে সেটা আসলে ১০ ডিসেম্বর তাদের সমাবেশ প্রচন্ড ‘ফ্লপ’ করার কারণে। যে হাঁকডাক দিয়ে তারা ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সেটার তুলনায় তারা কিছুই করতে পারেনি। ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে বড়জোর ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে, তাও একটি গরুর হাটের ময়দানে। সেই কারণে মুখ রক্ষার জন্য তারা এখন নানা ধরণের অভিযোগ-অনুযোগ উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।’
‘২৪ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিলের ডাক দেওয়া একটি দুরভিসন্ধি’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন,  প্রথমত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সে দিন আসলে এ ধরণের গণমিছিলের ডাক দেওয়া দুরভিসন্ধি। যুগপৎ আন্দোলন, যৌথ আন্দোলন -এগুলোর ডাক তারা বিভিন্ন সময়ে দেয়। গত ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন সময় তারা এ সব ডাক দিয়েছে। কিন্তু তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। এবারও  যথারীতি তাই হবে বলেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে আমাদের দেশে বিভিন্ন ব্যাংকে মানুষের রাখা আমানতের ওপর সুদের হার কম -এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপের ব্যাংকগুলোতে আমানতের ওপর সুদের হার ১ ভাগ। মূল্যস্ফীতি কোনো দেশে ১০ভাগ, আবার তুরস্কে ৭০ভাগ। তাহলে কি সেখানে ব্যাংকের সুদের হারও ১০ভাগ  বা ২০ভাগ করতে হবে! মূল্যস্ফীতির সাথে ব্যাংকের আমানতের সুদের হার তুলনা রিপোর্ট করা হলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। আমি মনে করি এটি সমীচীন নয়।’
এর আগে সাংবাদিক মোতাহার হোসেন গ্রন্থিত ‘বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি’, অনার্য পাবলিকেশন্স লিমিটেড প্রকাশিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইংরেজি সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম প্রয়াত শিক্ষকের শিক্ষকতাজীবন নিয়ে সম্পাদিত গ্রন্থ ‘অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী স্মারক গ্রন্থ’ এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক ড. শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় রচিত কলকাতায় জন্মগ্রহণকারি পর্তুগীজ বংশোদ্ভুত ১৮শতকের বাঙালি সাহিত্যিক ডিরোজিও’র জীবনভিত্তিক বই ‘ডিরোজিও : জীবন ও কর্ম’ -এ তিনটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, লেখক মোতাহার হোসেন এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, বই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে কারণ আমরা পৃথিবী থেকে এক সময় সবাই বিদায় নেবো, কে কখন বিদায় নেবে জানি না। জন্মের হয়তো সিরিয়াল আছে কিন্তু মৃত্যুর কোনো সিরিয়াল নাই। কিন্তু বই যারা লেখেন তারা যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *