লটারি ছাড়া অন্য উপায়ে ভর্তি করালে ব্যবস্থা

সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারিতে নির্বাচিতদের ভর্তি করানো নিয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। লটারি ছাড়া অন্য উপায়ে ভর্তি করালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, লটারিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও বেশি বয়সের কথা বলে অনেক স্কুলে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। কোথাও আবার মৌখিক পরীক্ষার নামে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ফলে কেউ কেউ ভর্তি থেকে বাদ পড়ছে।

এদিকে, রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এসব শিক্ষার্থীকে সরাসরি ভর্তির সুযোগ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লটারির মাধ্যমে যারা ভর্তির সুযোগ পাবে, তাদের অবশ্যই ভর্তি করাতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে মূল্যায়ন বা ছাঁটাই করতে পারবে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লটারিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও শিক্ষার্থী ভর্তি না করার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেলাল হোসাইন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনে স্কুলের চাহিদার ভিত্তিতে দ্বিতীয় তালিকা দিয়ে শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। আর সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে কেউ ভর্তি না হওয়ায় আসন শূন্য হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করানো হবে। তাতেও আসন পূরণ না হলে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *